Head Of The Department
Ajim Uddin
E-mail: ajimuddin07@gmail.com
Contact: 01734033583
ভূমিকা
জীবন চলার পথে সর্বোত্তম সঙ্গী ও সহজ মাধ্যম হলো কম্পিউটার। কম্পিউটার ছাড়া মানুষের কর্মকৌশল যেন অপূর্ণাঙ্গ। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে কম্পিউটার এক বিস্ময়কর আস্থাশীল নাম। কম্পিউটারের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব। কম্পিউটার একদিকে যেমন বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে, তেমনি ভাবে খুলে দিয়েছে বিজ্ঞান ও উন্নয়নের দ্বার। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ছাড়া কোন কাজই যেন অসম্ভব। সময়ের চাহিদানুসারে কম্পিউটার টেকনোলজি মানুষের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। কম্পিউটার ডিপ্লোমা পাশ করার পর কেউ বেকার থাকে না।
চাকরির ক্ষেত্র
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক রাস্তা খোলা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শাখায় কাজ করতে পারেন। কেউ হতে পারেন প্রোগ্রামার আবার কেউ বা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এ ছাড়া গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনারও হতে পারেন। পাশাপাশি আছে ফ্রিল্যান্সিয়ের সুযোগ। আর অফিস আদালত, ব্যাংক-বীমা, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট হাউস, গণমাধ্যম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি তো আছেই। পদসমূহ: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর একজন ছাত্র/ছাত্রী যে সমস্ত পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন সেগুলো হলো প্রোগ্রাম সহকারী, প্রোগ্রাম আইটি অফিসার, কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ডিজাইনার, টেকনিশিয়ান, ল্যাব-টেকনিশিয়ান, প্রধান ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর এবং অন্যান্য। এক কথায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা যেকোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন।
শিক্ষা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম সর্বমোট ৪ বছর মেয়াদী এবং ৮ সেমিষ্টার ভিত্তিক। প্রতি ৬ মাস পর পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাস টেষ্ট, কুইজ টেষ্ট, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য সমাজ সচেতনতা মূলক অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করতে হয়। সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীগণ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সনদপত্র লাভ করবেন।